টলিউড

রক্ত ঝরিয়ে অভিনয় শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের

Posted on

টলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন ছিল গত সোমবার। এই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে অভিনেত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার সহকর্মী ও ভক্তরা। বর্তমানে তিনি ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার জন্য আলোচনা-সমালোচনায় রয়েছেন। এই উপলক্ষে সিনেমার পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র একটি আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন।

এক শুভেচ্ছাবার্তায় শুভ্রজিৎ জানিয়েছেন, ‘দেবী চৌধুরানী’র শুটিংয়ে কতটা পরিশ্রম করেছেন শ্রাবন্তী। এমনকি শুটিংয়ের জন্য তাকে রক্তও ঝরাতে হয়েছে, যা তার ডাক নাম ‘গিন্টু’র প্রতি ইঙ্গিত। পরিচালক শ্রাবন্তীর একাগ্রতা ও কর্মক্ষমতার প্রশংসা করেছেন।

পরিচালক বলেছেন, ‘গিন্টুর জন্মদিনে আমি শহরে নেই; বর্তমানে দিল্লিতে অবস্থান করছি। প্রায় দশ বছর আগে আমাদের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে। এরপর সময়ের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। জন্মদিনে গিন্টুর নানা স্মৃতি মনে পড়ে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘গিন্টু একটি শক্তিশালী অভিনেত্রী। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে তার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা এখনও উন্মোচিত হয়নি। মেকআপ ছাড়া তার সৌন্দর্য তুলনাহীন। “দেবী চৌধুরানী” সিনেমায় তার অভিনয় নিখুঁত।’

‘বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বর্ণনায় যে চরিত্রের চিত্রণ প্রয়োজন, গিন্টুর লুক সেই চিত্রণের সাথে পুরোপুরি মিলে গেছে। তার মধ্যে একটি গভীর বাঙালিয়ানার উপস্থিতি রয়েছে, যা চরিত্রের জন্য অপরিহার্য ছিল। তাই আমি গিন্টুকে নির্বাচিত করি। শুটিংয়ের আগে অনেক অভিনেত্রী এই চরিত্রে অভিনয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু গিন্টু তার থেকে বেশি কিছু প্রদান করেছে।’

শুভ্রজিৎ তার লেখায় শ্রাবন্তীর পরিশ্রমের কথা তুলে ধরেন। তিনি লিখেছেন, ‘গিন্টুর কাজের প্রতি নিষ্ঠা আমাকে মুগ্ধ করেছে। “দেবী চৌধুরানী” হয়ে উঠতে গিন্টু এক বছরের বেশি সময় পরিশ্রম করেছে। তলোয়ার চালানো শেখা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অ্যাকশন প্রশিক্ষণ—সবই সে নিয়েছে। শুটিংয়ের সময় একাধিকবার আহত হয়েছে; মাথার ঘাম নয়, আসলেই রক্ত ঝরিয়েছে! তির ছোঁড়ার সময় ধনুকের ছিলায় আঙুল কেটে গিয়েছিল, তাও ব্যান্ডেজ দিয়ে শট দিয়েছে। হামাগুড়ি দেওয়ার দৃশ্যের জন্য পাথরের নুড়িতে হাঁটু ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে, তারপরও শট দিয়েছে। একজন পরিচালক হিসেবে আমি আর কী চাইতে পারি?’

‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার পরেও শ্রাবন্তীকে পরবর্তী ছবি ‘কালমৃগয়া’তে বেছে নিয়েছেন নির্মাতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Most Popular

Exit mobile version